লকডাউনের আর প্রয়োজন নেই, ভ্যাকসিন আসছে : ফাউসি

লকডাউনের আর প্রয়োজন নেই, ভ্যাকসিন আসছে : ফাউসি

অনলাইন ডেস্ক: বার্তা সংস্থা এএফপিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বিশেষজ্ঞ ফাউসি বলেন, তিনি আশাবাাদী যে শিগগিরই বিশ্ব একটি ভ্যাকসিন পাবে, যা মহামারির অবসান  ঘটাবে।

যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় দৈনিক সংক্রমণের হার সমানতালে এগিয়ে চলা সত্ত্বেও করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আর লকডাউন প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সরকারি বিশেষজ্ঞ ফাউসি। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এই মন্তব্য করেন।

ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসের মতো এলাকায় যেখানে সংক্রমণের হার বাড়ছে, সেখানে লকডাউন প্রয়োজন আছে কি না, সে প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব  অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসের পরিরচালক ফাউসি বলেন, আমি মনে করি না, আমরা লকডাউনে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে আর কথা বলব।

আমেরিকা সংক্রমণের নিশ্চিত সংখ্যা ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে। সেখানে প্রাণহানির সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে করোনাভাইরাসের ছড়ানোর মূলকেন্দ্র হয়ে ওঠা নিউইয়র্ক ও নিউজার্সি যেখানে তাদের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে, সেখানে ২০টি অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

স্কুল কখন আবার চালু করা উচিত? এ প্রশ্নের জবাবে এ বিশেষজ্ঞ দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায় স্থানীয়করণ পদ্ধতির ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন। যেখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা নেই, সেখানে স্কুল খুলে দিতে কোন সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

কিছু এলাকায় বিকল্প ব্যবস্থায় স্কুল খোলা যেতে পারে যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশী। যেমন, প্রতিদিন স্কুল না খুলে একদিন পরপর স্কুল খোলা যেতে পারে। মাস্ক পরে দূরত্ব বঝায় রেখে বসার ব্যবস্থা করতে হবে।

 

দেশের সীমান্ত কবে নাগাদ খোলা যেতে পারে-এমন প্রশ্নে সতর্ মন্তব্য করেছেন তিনি। দেশটির আগ্রহ রয়েছে অন্যান্য দেশের সাথে স্বাভাবিক যোগাযোগের । প্রতিদিনিই বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে, কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমা বলা যাচ্ছে না।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত করোনায় আক্রান্ত যেসব রোগীর ভেন্টিলেশন ও অক্সিজেনের প্রয়োজন, সেই রোগীদের জীবন বাাঁচাতে ডেক্সামেথাসন অত্যন্ত কার্যকর বলে দেখা গেছে। এটা এক ধরনের স্টেরয়েড। তবে মৃদু উপসর্যুক্ত রোগীদের জন্য এই ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

বিবিসির খবরে বলা হয়, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এই গবেষণা চালিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় দুই হাজার করোনা রোগীর দেহে ডেক্সামেথাসন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। তা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে মৃতুঝুঁকি ৪০ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে কমে আসে। আর যেসব রোগীর অক্সিজেন গ্রহণের প্রয়োজন হয়, তাদের মৃতুঝুঁকি ২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ কমে আসে।

 

সংশ্নিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃদু উপসর্গ থাকা করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ডেক্সামেথাসন খুব একটা কার্যকর নয়। অর্থাৎ যেসব করোনারোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় না, তাদের ক্ষেত্রে ডেক্সামেথাসনের প্রয়োজন নেই। এ বিষয় নিয়েই সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ রোগ গবেষক ফাউসি।

 

#যুক্তরাষ্ট্র #করোনাভাইরাস #ডেক্সামেথাসন

Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )