যেভাবে নিজের সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক

যেভাবে নিজের সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক

বুখারী শরীফ, মেশকাত ও বিভিন্ন হাদিসের আলোকে কিভাবে নিজের সন্তান্দের মানুষের মত মানুষ করা যায় সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক ;

তাদের স্নেহ দেখান:

তাদের অনুভূতিগুলোকে মূল্যায়ন করুন। মেয়েদের মতো ছেলেদেরও আবেগ আছে। তাদের আবেগগুলো নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা কিংবা তাদেরকে লজ্জা দেওয়া ঠিক হবে না। একটি হাদিসে এসেছে, আনাস বিন মালেকের ছেলের ছোট একটি পাখি ছিল। সে তার সাথে খেলা করত। নবী (সা.) সেই বাচ্চা ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবু উমার! তোমার পাখি কি আজ তোমার সাথে খেলা করছে না? একদিন ছোট পাখি মারা গেল। ছেলেটি দুঃখী ছিল, তাই দয়াময় নবী তাকে দেখার জন্য এবং সান্তনা দেওয়ার জন্য ছুটে এসেছিলেন। (মেশতাক)

 

তাদের শিশু সুলভ আচারণগুলো মেনে নিন:

আপনার ছেলে সন্তানটা শিশু সুলভ যে আচারণগুলো করে সেগুলোকে খুব সহজেই মেনে নিন। এই ক্ষেত্রে অবশ্য অনেক বাবা-মাই বিষয়টা মেনে নিতে পারেন না। একটি হাদিসে এসেছে, যখন আল-হাসান ও আল-হুসাইন ছোট ছিলেন, তখন তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তেন, যখন তিনি সালাত আদায় করতেন এবং যখন তিনি সিজদা থেকে উঠতেন তখন তিনি আস্তে আস্তে তাদেরকে মাটির উপর রাখতেন। (নাসায়ী)

 

 আল্লাহ রাসূলের ভালোবাসা তাদের অন্তরে প্রকাশ করান:

আপনার শিশুকে কুরআনের সুন্দর সুন্দর গল্প বলে শোনান। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন সম্পর্কে তাদের প্রতিদিন একটু একটু করে শিক্ষা দিন। তাদের সাথে প্রতিদিন একটি করে আয়াতের ব্যাখ্যা নিয়ে আলোচনা করুন যেমন আল্লাহপাক কুরআনে ইরশাদ করেছেন, এটি একটি অত্যন্ত বরকতপূর্ণ কিতাব, যা (হে মুহাম্মদ!) আমি তোমার প্রতি নাজিল করেছি, যাতে এরা তার আয়াত সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে এবং জ্ঞানী ও চিন্তাশীলরা তা থেকে শিক্ষা নেয়। (সাদ:২৯)

তাদের স্নেহ দেখান:

তাদের অনুভূতিগুলোকে মূল্যায়ন করুন। মেয়েদের মতো ছেলেদেরও আবেগ আছে। তাদের আবেগগুলো নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা কিংবা তাদেরকে লজ্জা দেওয়া ঠিক হবে না। একটি হাদিসে এসেছে, আনাস বিন মালেকের ছেলের ছোট একটি পাখি ছিল। সে তার সাথে খেলা করত। নবী (সা.) সেই বাচ্চা ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবু উমার! তোমার পাখি কি আজ তোমার সাথে খেলা করছে না? একদিন ছোট পাখি মারা গেল। ছেলেটি দুঃখী ছিল, তাই দয়াময় নবী তাকে দেখার জন্য এবং সান্তনা দেওয়ার জন্য ছুটে এসেছিলেন। (মেশতাক)

সৎ হতে উৎসাহ দিন:

আপনার ছেলেকে সত্য কথা বলতে এবং সৎ হতে উৎসাহিত করুন। একটি হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে মা’আরের মা একবার তাকে তার নিকটবর্তী হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি তাকে কিছু ফেরত দেবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি তুমি তাকে কিছু না দাও তবে তোমার উপর এটি মিথ্যা হিসাবে লিপিবদ্ধ করা হবে। (আবু দাউদ)

ছেলেদের একটি আদর্শ দরকার:

তাদের একজন আদর্শবান পিতা দরকার যিনি সকল কিছুতেই সামনে থেকে শেখাবেন এবং তাদের পুত্রদেরকে অনুপ্রেরণা দেবেন।

ঘরের কাজের দায়িত্ব দিন:

আপনা ছেলে সন্তানটি যখন একটু একটু করে বড় হচ্ছে তখন আপনি তাকে ঘরের কাজে ইনভল্প করুন। ছেলেকে ছোট ছোট কিছু বিষয়ের দায়িত্ব দিন। তাকে কাজ করতে শিখান। একটি হাদিসে এসেছে, নবী (সা.) তার পরিবার পরিজনকে ব্যস্ত রাখার জন্য ব্যবহার করতেন এবং যখন নামাজ আদায় করার সময় হতো তখন সবাই নামাজের জন্য চলে যেতেন (বুখারী)

Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )