
ত্বকের যত্নে খেজুর
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রাপ্তবয়স্ক সবার অন্তত প্রতিদিন দুটি করে খেজুর খাওয়া উচিত। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ওজন নিয়ন্ত্রণ করে ও মস্তিষ্কের সুস্থতা ছাড়াও খেজুরে রয়েছে আরও অনেক স্বাস্থ্যসম্মত গুণ। সম্প্রতি পশ্চিমে অনেক কসমেটিক ব্যান্ড খেজুরের পুষ্টিগুণ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট তৈরি করেছে। অবশ্য এর বীজের তৈরি তেল অনেক আগে থেকেই ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, আইরন, কপার এর মত খনিজ উপাদান।
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ভিতামিন-এ, বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন-ডি ও প্রোটিন সহ রয়েছে প্রচুর খনিজ উপাদান। খেজুর ত্বকের জন্য খুবই কার্যকর। তবে শুষ্কতা দূর করতে এর জুড়ি নেই। এটি একই সঙ্গে প্রাকৃতিক স্কিন ব্রাইটনার ও হাইড্রেটর। গবেষণায় দেখা গেছে খেজুরে থাকা ফাইটোহরমোন বলিরেখা দূর করতে অনেক বেশী কার্যকর ভূমিকা রাখে। খেজুরে রয়েছে ভিটামিন সি’ ও ডি’ কোলাজেন বুস্ট করে ত্বকের ইলাস্টিসিটি বাড়ায়। এটি রিংকেলস, ফাইন ও ডার্ক স্পটের মতো বয়সের চিহ্ন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
সূর্যের ইউভি রশ্মির কারণে সৃষ্ট ড্যামেজ রিপেয়ার ও হাইপার পিগমেন্টেশন কমিয়ে দেয় ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। খেজুরে ভিটামিন-সি পাওয়া যায় বহুগুণ আর ব্রণের দাগ ও ব্ল্যাকহেডস দূর করে এই ভিটামিন -এ। খেজুরের বীজ থেকে তৈরি তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। ত্বকের জন্য এই তেল অনেক বেশি উপকারী বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এই তেল ব্যবহারে সহজেই ত্বকের যে কোনো অ্যাক্সিডেন্ট করে তুলতে পারে। অ্যান্টিএজিং ক্রিম, ময়শ্চারাইজার, পিলিং, আই ক্রিম, মাস্ক, স্কিন রিনিউয়াল সিরাম এমনকি ফেসওয়াশ সবকিছুতেই এখন ব্যবহার করা হচ্ছে খেজুরের এক্সট্রাক্ট। দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে খেজুর দিয়ে তৈরি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট বলতে গেলে পাওয়া যায় না গেলেও দাম অনেক বেশি কিন্তু খেজুর পাওয়া যায় বারো মাস ।
চুলকানি ও অ্যাকনির ট্রিটমেন্টঃ
অতিরিক্ত শুষ্কতা বা পোকামাকড়ের কামড়ের কারণে ত্বকে চুলকানি হয়ে থাকে। এই বিরক্তিকর সমস্যা সমাধানের জন্য খেজুর ব্যবহার করতে পারেন। পাঁচটি খেজুরের পেস্ট এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ কমলার রস ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে যেখানে চুলকানি হচ্ছে সেখানে বেশ কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখতে হবে। একই মাস্ক ব্রণের জন্য কার্যকর।
ক্লিনজারঃ
খেজুর স্কিন এক্সফোলিয়েটর হিসেবে দারুন কাজের। খুব কোমল ভাবে ত্বকের মৃতকোষ দূর করতে চাইলে বেছে নিন এই ফল। পাঁচটি খেজুরের পেস্ট এর সঙ্গে 5 টেবিল চামচ দুধ 1 টেবিল চামচ সুজি আর 2 টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে 5 মিনিট ম্যাসাজ করুন এরপর 10 মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ময়শ্চারাইজিং মাস্কঃ
ত্বকের আদ্রতা ধরে রেখে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে এবং খেজুরের জুড়ি মেলা ভার। আর এ জন্য খেজুর দিয়ে একদম সহজে বানিয়ে ফেলুন প্যাকটি। মশ্চারাইজার মাস্ক প্রথমে কয়েকটি খেজুর আধা কাপ দুধে ভিজিয়ে নরম করে নিন এরপর এ দুটি উপাদান ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে একটা স্মুথ পেস্ট তৈরি করে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল বা কোকোনাট অয়েল 1 চামচ টক দই 2 চামচ মধু আর আধা চামচ হলুদ গুড়া মাস্ক মুখে লাগিয়ে 20 মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহারে ত্বক হবে টানটান স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এবং মসৃণ।
এসএস/